মেয়েদের হরমোন কমানোর উপায়
হরমোন এমন একটি বিষয় যা মেয়েদের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে প্রতিটি ক্ষেত্রে । বলা যায় যে মেয়েদের অধিকাংশ শারিরিক প্রক্রিয়া হরমোন দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে । মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের জীবনে হরমনের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ন ।
হরমোন সামাজিক,মানসিক,শারিরিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করে থাকে । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মেয়েদের হরমোনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । তখন এই পরিবর্তন তাদের জীবনে নানা দিক থেকে প্রভাব ফেলতে থাকে ।
এই হরমোন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে / প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি হয়ে গেলে তাদের জীবনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় । আজকে আমরা এই লেখায় আলোচনা করবো মেয়েদের হরমোন কমানোর উপায় কি / কম বা বেড়ে গেলে করনীয় কি ।
সমস্যাসূমহ ঃ
১। মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রয়োজনের তুলয়ায় বেশি হয়ে গেলে পিরিয়ড শুরু হতে অনেক দেরি হয় । যার ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে । তখন ব্রন সমস্যা , মেজাজ হারানো, শারিরিক গঠন পরিবর্তন সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে ।
২। অপরদিকে মেয়েদের শরীরে যদি প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে সে সমকামীতা বা সমকামীদের মত আচরন শুরু করে । এতে করে দেখা যায় যে মেয়েরা তাদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন হারিয়ে ফেলে ।
মেয়েদের হরমোন কমানোর উপায়/করনীয় ঃ
১। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন ঃ মেয়েদের অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করতে হবে । খাদ্য তালিকায় প্রোটিন , ফল, সবজি, ড্রাই ফল গ্রহন করতে হবে । এতে করে তাদের শরীরে হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকবে ।
২। নিয়মিত ব্যায়াম ঃ ব্যায়াম শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন এটা সবাই জানেন । নিয়মিত ব্যায়াম মেয়েদের শরিরের হরমোনের স্তর ঠিক রাখে এবং দেহ থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে দেয় ঘামের মাধ্যমে । ব্যায়াম এর মধ্যে সাইক্লিং, জগিং, যোগাসন, রানিং অন্যতম কাজ করে থাকে । এতে করে দেহ ও মানসিক উন্নতি হয় এবং হরমোন সঠিক ভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে ।
৩। নিয়মিত পরিক্ষা ঃ দেহের হরমোন এর মাত্রা কত , আগে কত ছিল, কম বা বেশি হলে কি করা দরকার তার জন্য অবশ্যই নিয়মিত হরমোন পরিক্ষা করতে হবে ।
৪। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ঃ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট হরমোনের স্তর পরিবর্তন করে দিয়ে অনেক বেশি কাজ করে থাকে । আপনি যদি মানসিক ভাবে স্ট্রেস ফ্রী থাকেন তাহলে আপনি হরমোনাল কোন বাড়তি স্ট্রেস ফিল করবেন না /।
৫। নিয়মিত ঘুম ঃ পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম মেয়েদের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অত্যান্ত কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে । প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুম এনে দিতে পারে আপনার শরিরে অভাবনীয় অরিবর্তন ।
৬। হরমোনাল থ্যারাপি ঃ যদি আপনি দেখেন যে আপনার হরমোন এর ব্যালেন্স অনেক বেশি বা কম হয়ে গেছে তাহলে আপনাকে দ্রুত ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে । হরমোনাল থ্যারাপির মাধমে আপনার এই হরমোনের বৃদ্ধি বা কম এর মাত্রা সঠিকভাবে ঠিক করা যাবে ।
৭। শিক্ষার প্রভাব ঃ দেশে হরমোন বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামুলক প্রচারনা এবং ক্যাম্পেইন হয় , যে গুলো তে অংশগ্রহন করার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের এই সমস্যার সমাধান বের করতে পারবেন ।
হরমোনের প্রভাব যেমন মেয়েদের জীবনে আছে তেমনি ছেলেদেরও । সর্বোপরি আমাদের সকলের ইনডোর আউটডোর এক্টিভিটি তে অংশগ্রহন করতে হবে ।