মাসিকের সমস্যায় করণীয়: মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয়

মাসিক মহিলাদের জীবনে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয় । প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ে মেয়েদের এই প্রক্রিয়াটি হয়ে থাকে । এই সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন দিক পরিবর্তন হয় এবং তা প্রভাব ফেলে তাদের শারিরীক,মানসিক জীবনে । তাই এই সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন সহ বেশি যত্নবান হতে হবে মেয়েদের

এই সময়ে বেশিরভাগ মেয়েদের পেটে অনেক ব্যাথা হয় যা অনেক কষ্টকর হয়ে থাকে । আজকে আমরা জানবো যে মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা কেন হয় এবং মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয় কী?


মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয়




পেটে ব্যাথার কারনসূমহ ঃ 


১। রক্তস্রাব ঃ রক্তস্রাব হলো পেটে ব্যাথার অন্যতম একটি কারন । এটি মূলত ন্যাচারাল ও স্প্রবাভাবিক প্রক্রিয়া । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তস্রাব বড় ধরনের ব্যাথার/ সমস্যার কারন হতে পারে ।

২। মাসিক রোগ ঃ অনেক সময় মেয়েদের মাঝে মাসিক রোগ দেখা যায় যা তাদের শারিরীক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার আবির্ভাব করতে পারে ।

৩। হরমোনাল অস্তিত্ব ঃ অনেক সময় দেখা যায় যে ,যেসব মেয়েদের হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে যায় বা কমে যায় , তাদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে । হরমোনাল ব্যালেন্স বিপর্যস্ত হলে মাসিকের সময় ব্যাথা হয়ে থাকে ।

৪। গাইনোকলজিক্যাল বিষয় ঃ কিছু কিছু সময় বিভিন্ন ধরনের গাইনো সমস্যার কারনে মাসিকের সময় ব্যাথা অনুভব হতে পারে ।


মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয় ঃ 


১। উপযুক্ত খাদ্য ও পরিপাটি থাকা ঃ মাসিকের সময় পরিপাটি থাকতে হবে এবং উপযুক্ত খাদ্য গ্রহন করতে হবে । এতে করে দেহে খাদ্য ও পুষ্টি ঘাটতি পুরন হবে । পর্যাপ্ত খাবার, সঠিক পুষ্টি , প্রয়োজনীয় প্রটিন, ফল এবং পানি পান করতে হবে ।

২। বিশ্রাম ঃ এই সময়ে অবশ্যই পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহন করতে হবে । সঠিক ঘুম, যোগাযোগ , সাহ্রিরীক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে বিশ্রামের ব্যাবস্থা করতে হবে ।

৩। নির্দেশিকা মেনে চলা ঃ যদি কোনো কারনে মনে হয় যে পেটে খুব বেশি ব্যাথা অনুভব হচ্ছে তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে । ডাক্তার যে সকল নির্দেশনা দিবে তা সঠিক ভাবে অনুসরন করতে হবে । নির্দিষ্ট  মেডিসিন , ও অন্যান্য যাবতীয় জিনিস মেনে চলতে হবে ।

৪। তাপমাত্রা ঠিক রাখা ঃ মনে রাখতে হবে শরীরের তাপমাত্রা যেনো বেড়ে বা কমে না যায় । এতে করে শরীর দূর্বল হয়ে পড়বে এবং ব্যাথা বেশি অনুভব হতে পারে ।

৫। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ঃ এই অবস্থায় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার / গাইনোকোলজিস্ট এর শরনাপন্ন হতে হবে যেন সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা যায় ।

৬। ব্যায়াম ঃ এই সময় কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো করলে ব্যথা অনেকটা কমে যায়। এই ব্যায়ামগুলো করতে হবে , তাছাড়া যোগাসন অথবা আসান এই সময় ব্যাথা কমাতে অনেকটা সহায়তা করে থাকে ।

৭। গরম পদ্ধতি ঃ এই সময় যতটা পারা যায় গরম খাবার গ্রহন করতে হবে । পরিবহনের পদ্ধতি ও গরম ব্যাবস্থা থাকতে হবে । পেটের কাছে গরম পানির সেক প্রদান করলে অনেক টা ব্যাথা কমে যায় । গরম পানিতে গোসল করলেও অনেকটা আরামবোধ হয় ।

৮। কার্যকরি সহায়তা ঃ এই সময় একজন সহায়ক হিসেবে কাছে রাখতে হবে যাতে করে মাসিকের মহিলা আরামদায়ক অনুভব করে । তাকে কোন অবথাতেই ভারি কাজ বা বস্তু উঠানামা করতে দেয়া যাবে না ।



এই সময়টা খুব সেনসিটিভ একটি সময় । তাই যতটা পারা যায় এই ব্যাথা পরিহার করার জন্য পরিস্কার থাকা, সঠিক পুষ্টি গ্রহন করা , ব্যায়াম করা ইত্যাদি অভ্যাস গুলো চর্চা করতে হবে । তাহলেই এই মাসিকের ব্যাথা থেকে আপনারা অনেকটা নিরাময় লাভ করবেন ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

ads